কৃষির উদ্ভাবনী প্রযুক্তিসমূহ সম্প্রসারণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে কৃষি প্রযুক্তির সঠিক ও হালনাগাদ অগ্রগতি বিষয়ক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ইমামগণ কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ইমাম প্রশিক্ষণ একডেমি মিলনায়নে ২৪ এপ্রিল ২০১৯ (বুধবার) দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি)। ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তথা ইমামদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “টেকসই কৃষি উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন ও জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার” শীর্ষক এই প্রশিক্ষণে ইমাম প্রশিক্ষণ একডেমির তালিকাভুক্ত ৫০ জন ইমামসহ ৮০জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, কৃষিতে সর্বশেষ উদ্ভাবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ইমামগণদের জন্য এই কর্মশালাটি বেশ সহায়ক হবে।
ইমাম প্রশিক্ষণ একডেমির পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমেদ বলেন, মসজিদের ইমামগণদের সমাজে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও অনুকরণীয় নেতা। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইমামরা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইমামদের কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও প্রয়োগ সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
এছাড়াও কর্মশালায় খাদ্য ও পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জীবপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান লাভ ও এর ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
ইমাম প্রশিক্ষণ একডেমির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) কৃষিবিদ মো: আলমগীর হায়দার, কৃষি প্রশিক্ষক কৃষিবিদ মালিক সাঈদ হায়দার, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. একেএম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) উর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল মোমিন কর্মশালায় কৃষিতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে বিভিন্ন সেশনে উপস্থাপনা প্রদান করেন।